শিলাবতী নদীর তীরে গণগনি।
রবিবার সকালে আমরা দুই বন্ধু বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলাম পশ্চিম মেদিনীপুরের গণ গনির উদ্দেশে। রূপনারায়ণ এর ওপর ব্রিজ পেরিয়ে কোলাঘাটে ব্রেকফাস্ট সেরে নিলাম। কোলাঘাট থেকে যাত্রা করে ডেবরা পেরিয়ে খড়্গপুর এসে পৌঁছলাম। খড়্গপুর থেকে ডানদিকে ঘুরে গড়বেতা গামী পথ । মেদিনীপুর, চন্দ্রকোনা হয়ে পৌঁছলাম শালবনির জঙ্গলে। ঘন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে পথ চলে গেছে গড়বেতা। সকাল সাতটায় যাত্রা একশো ছিয়াশি কিলোমিটার দূরবর্তী গণগনি এসে পৌঁছলাম দুপুর বারোটায়। আরামবাগ হয়েও গড়বেতা যাওয়া যায়, তাতে পথ কিছুটা কম হবে কিণ্তু রাস্তার অবস্থা ভালো নয়, তাই আমরা খড়্গপুর হয়ে এলাম। গণগনি এসে প্রথমেই নজর পড়ে এঁকে বেঁকে বয়ে চলেছে শিলাবতী নদী। স্থানীয়রা যাঁকে আদর কোরে ডাকে শিলাই নামে। লাল মাটিতে চারিদিকে কাজু গাছের ঘন জঙ্গল। রাস্তা নেমে গেছে শিলাই নদীর তীরে। নদীর তীরে ঘুরে বেড়িয়ে বেশ কিছুটা সময় ভালোই কেটে যাবে। শিলাবতী নদীর তীরে ল্যাটেরাইট মৃত্রিকাতে দীর্ঘদিন প্রাকৃতিক ক্ষয় কার্যের ফলে সৃষ্টি হয়েছে অপরূপ ভাস্কর্যের। লাল, হলুদ রঙা ল্যাটেরাইট মৃত্তিকার ভাস্কর্য গুলিতে সূর্যের আলো পড়ে চোখ ধাঁদিয়ে দিচ্ছে। ফোটোগ্রাফি করার আদর্শ জায়গা।
কিভাবে যাবেন - গাড়িতে গেলে কোলাঘাট , ডেবরা, হয়ে খড়্গপুর সেখান থেকে ডানদিকের গড়বেতা গামী রাস্তা ধরে মেদিনীপুর, চন্দ্রকোনা, শালবনির জঙ্গল পেরিয়ে গড়বেতা। এছাড়া আরামবাগ হয়েও যাওয়া যায়।
ট্রেনে হাওড়া, সাঁতরাগাছি, শালিমার থেকে তিন ঘন্টার পথ। এক্সপ্রেস ট্রেনে সময় কিছুটা কম লাগে। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া গামী পথে গড়বেতা স্টেশন। স্টেশন থেকে গণগনি চার কিমি পথ। টোটো পাওয়া যায়।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন