পোস্টগুলি

মোগলমারী বৌদ্ধমহাবিহার হারিয়ে যাওয়া ইতিহাসের খোঁজে।

ছবি
মোগলমারী হলো পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন ব্লকের প্রতন্ত এক গ্রাম। গ্রামের লোকেরা মনেকরেন এক সময় এই অঞ্চলে মোঘল ও পাঠানদের মধ্যে প্রচন্ড যুদ্ধ হয়েছিলো, তাতে প্রচুর মোঘল সৈন্য মারা গিয়েছিলো তাই এই অঞ্চলের নাম হয় মোগলমারী। যদিও এটা নিয়ে বিতর্কের অবকাশ আছে। আজকে মোগলমারী জগতে বিখ্যাত সেখানকার প্রত্নাআবিষ্কারের জন্য। এখানে খনন কার্যের ফলে আবিষ্কৃত হয়েছে খিষ্ট্রীয় ষষ্ট শতকের এক বৌদ্ধ মহাবিহারের।  তখন মোঘলমারি গ্রামবাংলার আর পাঁচটা গ্রামের মতো একটা গ্রাম। গ্রামের একদিকে উঁচু একটা ঢিবি, যার নাম সকিসেনা ঢিবি, ঢিবির পাশে গ্রামের লোকেরা ক্লাব বানিয়েছে যেটা আসলে থিয়েটারের স্টেজ, ঢিবিতে বোসে লোক থিয়েটার দেখে।  দাঁতনের স্থানীয় শিক্ষক নরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস মহাশয়ের মোনে এসেছিলো ওই সকিসেনা ঢিবির মধ্যে প্রত্নতাত্বিক সম্ভাবনা থাকতে পারে। তাই তিনি তার মনের কথা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর অশোক দত্ত কে জানিয়ে ছিলেন।  চাইনিস পরিব্রাজক  হিউএনসাঙ এর লেখা বইয়ের বর্ণনা থেকে জানা যায় তাম্রলিপ্তত...

সুন্দরী অযোধ্যা পাহাড়।

ছবি
কন কনে শীতের এক ভোরে পুরুলিয়া রেল লাইনের ওপর ব্রিজ পেরিয়ে পুরুলিয়া শহরে প্রবেশ কোরলাম। এর পর সিরিকাবাদ হয়ে আমাদের গাড়ি ডানদিকে ঘুরে টামনার  রাস্তায় এসে পৌঁছলো । রাস্তার পাশে ধাবার উনুনে গনগনে কাঠের আগুন ঘিরে কয়েক জোন স্থানীয় অধিবাসী, আমরাও এই শীতল ভোরে গরম গরম চা এর আশায় হানা দিলাম ধাবায়। গনগনে কাঠের আগুনে শরীর সেঁকতে সেঁকতে গরম চায়ের কাপে চুমুক। গতকাল রাত এগারোটায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে  টামনা পৌঁছতে ভোর হয়ে গেলো। মাঝে রাত দুটোর সময় জয়পুরের বনলতা রিসর্টে চাপানের বিরতি দেয়া হয়েছিল। গরম চায়ের কাপে রাত জাগার ক্লান্তি কাটিয়ে অযোধ্যা পাহাড়ের দিকে এগিয়ে চললাম। এদিকে আস্তে আস্তে রাতের অণ্ধকার ক্ষীণ হয়ে প্রকৃতির বুকে হালকা ভোরের আলো ছড়িয়ে পড়েছে। আমাদের গাড়ি চকচকে পিচের রাস্তা ধোরে  উর্দ্ধশ্বাসে ছুটে চলেছে অযোধ্যা পাহাড়ের দিকে। পথের বাঁকে পাহাড়ের ফাঁক দিয়ে ঘন লাল সূর্য উঠে পড়লো, যার  রক্তিম আভা সারা পাহাড় জুড়ে ছড়িয়ে পড়লো। পাহাড়ের গায়ে শিশির ভেজা শাল ও পলাশের  ঘন জঙ্গলে এক রখম সাদা ফুলের সমারোহ যা সমগ্র পাহাড়কে সবুজ আর সাদা রঙে রাঙিয়ে তুলেছে। এর বুক চি...

শিলাবতী নদীর তীরে গণগনি।

ছবি
  রবিবার সকালে আমরা দুই বন্ধু বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলাম পশ্চিম মেদিনীপুরের গণ গনির উদ্দেশে। রূপনারায়ণ এর ওপর ব্রিজ পেরিয়ে কোলাঘাটে ব্রেকফাস্ট সেরে নিলাম। কোলাঘাট থেকে যাত্রা করে  ডেবরা পেরিয়ে খড়্গপুর এসে পৌঁছলাম। খড়্গপুর থেকে ডানদিকে ঘুরে গড়বেতা গামী পথ । মেদিনীপুর, চন্দ্রকোনা হয়ে পৌঁছলাম শালবনির জঙ্গলে। ঘন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে পথ চলে গেছে গড়বেতা। সকাল সাতটায় যাত্রা একশো ছিয়াশি কিলোমিটার দূরবর্তী গণগনি এসে পৌঁছলাম দুপুর বারোটায়। আরামবাগ হয়েও গড়বেতা যাওয়া যায়, তাতে পথ কিছুটা কম হবে কিণ্তু রাস্তার অবস্থা ভালো নয়, তাই আমরা খড়্গপুর হয়ে এলাম। গণগনি এসে প্রথমেই নজর পড়ে এঁকে বেঁকে বয়ে চলেছে শিলাবতী নদী। স্থানীয়রা যাঁকে আদর কোরে ডাকে শিলাই নামে। লাল মাটিতে চারিদিকে কাজু গাছের ঘন জঙ্গল। রাস্তা নেমে গেছে শিলাই নদীর তীরে। নদীর তীরে ঘুরে বেড়িয়ে  বেশ কিছুটা সময় ভালোই কেটে যাবে। শিলাবতী নদীর তীরে ল্যাটেরাইট মৃত্রিকাতে দীর্ঘদিন প্রাকৃতিক ক্ষয় কার্যের ফলে সৃষ্টি হয়েছে অপরূপ ভাস্কর্যের। লাল, হলুদ রঙা ল্যাটেরাইট মৃত্তিকার ভাস্কর্য গুলিতে সূর্যে...